নাবালিকাকে ধর্ষনে অভিযুক্ত প্রৌঢ় গ্ৰেপ্তার , চাঞ্চল‍্য পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির উচালনে

18th February 2020 বর্ধমান
নাবালিকাকে ধর্ষনে অভিযুক্ত প্রৌঢ় গ্ৰেপ্তার , চাঞ্চল‍্য পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির উচালনে


নিজের  নাতনির বন্ধবীর উপর যৌন নির্যাতন
অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি  । চাঞ্চল্যকর এই  ঘটনাটি  মঙ্গলবার ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের  মাধবডিহি থানার উচালন গ্রামে ।ধৃতের নাম  নাম গৌতম  মালিক। তাঁর বাড়ি উচালনের কর্মকার পাড়ায়।নাবালিকার পরিবার ও প্রতিবেশিরা অভিযুক্তের  দৃষ্টান্তমূল  শাস্তির দাবি জানিয়েছে । 

পুলিশ ও স্থানীয়  সূত্রে জানাগেছে ,উচালনের কর্মকার পাড়াতেই বাড়ি বছর ১১ বয়সী নির্যাতিতা নাবালিকার।সে স্থানীয় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন , গৌতম মালিক তাঁর মেয়ের বান্ধবীর দাদু হয় । এদিন সাকালে তাঁর মেয়ে প্রতিবেশী পরিবারের ওই বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিল ।  নাবালিকার বাবার অভিযোগ ওই সময়েই গৌতম তাঁর মেয়েকে নিজের বাড়ির একটি ঘরে নিয়েযায় ।  সেখানে মেয়ের  গোপনাঙ্গে হাত দেয় ও শরীরে  অাঁচড়ে দেয় । মেয়ে বাড়ি ফিরে  গৌতমের এই কুকীর্তির  কথা তঁদের জানায় ।এই ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়েপড়ে  । গৌতমকে ধরে সবাই মারধোর শুরু করেদেয় ।খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌছালে গৌতম মালিককে তাঁরা পুলিশের হাতে তুলে দেয় । গৌতমকে আটক করে মাধবডিহি  ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়েগিয়ে পুলিশ চিকিৎসা করায় । বিকালে নাবালিকার বাবা ঘটনার সবিস্তার উল্লেখ করে  মাধবডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ গৌতম মালিককে গ্রেফতার করে । যদিও ধৃত ব্যক্তি দাবি করেছেন,তিনি নির্দোষ।  নিজের নাতনির বান্ধবীর সঙ্গে  তিনি কোন খারাপ ব্যবহার করেননি । স্নেহের বসে গায়ে হাত দিয়ে আদর করেছিলেন । মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁকে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ।  মাধবডিহি থানার পুলিশ জানিয়েছে , বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে । 

 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।